মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয় ও ব্যথা কী করবেন বিস্তারিত :-
অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় বলতে শরীরের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে বোঝায়। এতে হাড় অনেকটা মৌচাকের মতো ঝাঁজরা বা ফুলকো হয়ে যায়। আর হাড় অতিদ্রুত ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
বয়স ৫০ পেরোনোর পর থেকে শরীরের হাড় ক্ষয় বা এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। কারও কারও এর আগেই এ লক্ষণ দেখা দেয়।
যাদের ক্ষেত্রে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি, তাদের দ্রুত হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। আবার নারীদের পিরিয়ডের পর হাড় ক্ষয়ের হার বেড়ে যায়।
স্পন্ডাইলোসিস :-
আমাদের মাঝেমধ্যেই ঘাড় ও কোমর ব্যথা দেখা দেয়। ঘাড় ও কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ হলো স্পন্ডাইলোসিস। এই স্পন্ডাইলোসিস দুই রকম- সারভাইক্যাল বা ঘাড়ের এবং লাম্বার বা কোমরের স্পন্ডাইলোসিস।
আমাদের দেহের মেরুদণ্ডের বিশেষ করে ঘাড় ও কোমরের অংশের কশেরুকার যদি কোনো প্রাকৃতিক পরিবর্তন সাধিত হয় তাকে স্পন্ডাইলোসিস বলে। অনেকে একে হাড় ক্ষয় হওয়া বা হাড় বেড়ে যাওয়া রোগ বলে থাকেন।
ঘাড়ব্যথার লক্ষণ :-
ব্যথা ঘাড় থেকে হাত, পিঠে বা বুকে ছড়িয়ে পড়ে। হাত ঝিঁ ঝিঁ ধরে বা অবশ মনে হয়। অনেকে মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরার কথাও বলে থাকেন। ব্যথা তীব্র হলে রোগী ঘুমাতে পারেন না এমনকি শুয়ে থাকতেও কষ্ট হয়।
কোমরব্যথার লক্ষণ :-
ব্যথা কোমর থেকে পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। একভাবে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা যায় না। পা ঝিঁ ঝিঁ ধরে। সামনে ঝুঁকে কাজ করলে ব্যথা বেড়ে যায়।
অনেকে পায়খানা বা প্রস্রাবের রাস্তার দিকেও ব্যথা অনুভব করেন। এই ব্যথা সাধারণত ধীরে ধীরে তীব্র হয়। আবার অনেক সময় হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হয়।
চিকিৎসা :-
হাড়ের পরিবর্তনের ফলে মেরুদণ্ডে অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়। ফলে স্নায়ুর গোড়ায় চাপ পড়ে আর তা থেকে ব্যথার উৎপত্তি হয়। চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো– মেরুদণ্ডকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এর জন্য ইলেক্ট্রোথেরাপি ও ম্যানিপুলেশনের যৌথ চিকিৎসা দরকার।
অস্থায়ীভাবে তীব্র ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য কম মেয়াদে ব্যথানাশক সেবন করা যেতে পারে। পূর্ণ সুস্থতার জন্য ফিজিওথেরাপি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এতে রোগী পূর্ণ বিশ্রামের সঙ্গে দিনে ৩-৪ বার কার্যকরী চিকিৎসা নিতে পারেন।
চ্যানেলটি ফলো করুন।